১) বাদল ধারা
হে প্রিয় বাদল ও ধারা
তোমারই প্রেমে হয়েছি আত্মহারা।
ওগো আমার প্রেয়সী তুমি,
এ কোন মায়ায় ভুলালে,
ভুলালে আমার হিয়ার সকল
ব্যথার মঞ্জুরী এ লগনে ।
ঝর ঝর ঝরে বাদল ধারা,
ঝরে রিমঝিম মোর হৃদয় হারা।
হে বিমুগ্ধ প্রকৃতি –
তোমার অপূর্ব কান্তশ্রী,
রিমঝিম বাদলও
ধারার বর্ষে হয়েছে সুশ্রী।
মোর হিয়ার ও কাননে
আজি লেগেছে দোলা।
তাই তো বাদলও ধারা,
আমি পাগল পারা।
ফুটেছে রঙন, কদম, কেয়া,
বহিছে বারিষ পাগল ও হিয়া।
কৃষ্ণচূড়ার শাখায় দুলছে স্বপন
ঐ ধারার মাঝে আছে গো রতন ।
তোমারই পরশে মাটি হবে সোনা
কৃষক তাই আত্মহারা।
কিশোর কিশোরীর কাঁদাজলে
খেলিছে আপন মনে।
বিরোহী প্রেমিকা গাঁথিছে মালা,
প্রেমিকের জন্য অশ্রুজলে
গগন জুড়ি সাদা মেঘের ভেলা উড়ে
মনে হয় জলপরী উড়ে ডানা মেলে,
মাঠ ঘাট আজ থই থই পানি
মনে হয় যেন সব নদীর পানি।
এমন ও দিনে বাদল ও ধারা
আমি তোমাতে হবো হারা ।
২) বৈশাখ
হে প্রিয় বৈশাখ,
সকল সুখের বারতা নিয়ে এসো,
নব দিগন্তের সূচনা হয়ে এসো।
সকল শূণ্যতা, পূর্ণতা প্রহরের
সীমানা পেরিয়ে।
নব নবীনের গান হয়ে এসো,
প্রকৃতি রাঙিয়ে ছন্দের রানী
হয়ে এসো,
প্রিয় কবিতার প্রাঞ্জল শব্দ
ব্যন্জনা হয়ে এসো,
ঐ লাল কৃষ্ণচূড়ার শাখায়
আবিরের রঙে রাঙিয়ে এসো ।
তরুণ – তরুণীর প্রাণোচ্ছল
আবেগী মন ছুঁয়ে এসো ,
হে প্রিয় বৈশাখী প্রেমের
উপাখ্যান হয়ে এসো।
এসো বৈশাখ, চঞ্চল, চপলা
বৈশাখী মেলার পশরা নিয়ে ,
নাগর দোলায় দোল খেতে খেতে –
ঈশান কোণে রুদ্র মেঘের চোখ
রাঙিয়ে,
ঐ প্রচন্ড প্রতাপে রুদ্র ঝড়ের
ঝান্ডা নিয়ে।
আম্র কাননে দামামা বাজিয়ে
ধূলায় লুটিয়ে ,
তোমার ঐ গগনে গর্জে উঠুক
বৈশাখীর পাঞ্জা।
শুভ্র মেঘের পালক পরে,
সওয়ার হয়ে এসো হে বৈশাখ।
কালো মেঘের জমাট বাঁধা
পাহাড় ভেঙে অঝোর ধারায়..
বৃষ্টি নিয়ে এসো।
বৃষ্টির ধারায় বৈশাখ এসো
সকল সুখের ডালি নিয়ে।