রুশ তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।রাশিয়ার দুইটি প্রধান তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট ও লুকোয়েলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রেন্ট ফিউচারের দাম ৩.৪০ ডলার বা ৫.৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৬৫.৯৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ৩.২৯ ডলার বা ৫.৬ শতাংশ বেড়ে ৬১.৭৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের প্রধান জলবায়ু ও পণ্য অর্থনীতিবিদ ডেভিড অক্সলি বলেছেন, ‘রোসনেফ্ট ও লুকোয়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। এটি পরের বছর বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারকে ঘাটতির দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট বড় ধাক্কা হতে পারে।’
মার্কিন জ্বালানি তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পরে রাশিয়া ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী। অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি মার্কিন ডিজেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। যা ডিজেলের ক্র্যাক স্প্রেডকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চে উন্নীত করেছে। ক্র্যাক স্প্রেড পরিশোধন মুনাফার মার্জিন পরিমাপ করে।
স্যাক্সো ব্যাংকের বিশ্লেষক ওলে হ্যানসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও ভারতের পরিশোধনাগারগুলোকে বিকল্প সরবরাহকারীর সন্ধান করতে হবে। নয়তো পশ্চিমা ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে তারা।
একাধিক বাণিজ্য সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা দুটি কোম্পানির কাছ থেকে সমুদ্রপথে রাশিয়ান তেল ক্রয় স্থগিত করেছে। যার ফলে দাম আরো বেড়েছে।
সূত্র : রয়টার্স..
