নির্বাচনের প্রতীক্ষায় জাতি, অনিশ্চয়তা ও প্রত্যাশার দ্বন্দ্ব। নিবন্ধ।মো: নজরুল ইসলাম

সম্পাদকীয়

by protibimbo
০ মন্তব্য ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনের প্রতীক্ষায় জাতি: অনিশ্চয়তা ও প্রত্যাশার দ্বন্দ্ব‎
মো: নজরুল ইসলাম

জাতির সামনে বর্তমানে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ, আলোচিত এবং গভীরভাবে অনুভূত বিষয় ‎হলো—জাতীয় নির্বাচন।সরকার প্রধানের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি, আইন-শৃঙ্খলা ‎রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্কতাবাণী—কোনো কিছুই জনগণের মধ্যে প্রত্যাশিত আস্থা সৃষ্টি ‎করতে পারছে না।এ যেন দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা ও অবিশ্বাস জাতির মানসপটে ‎স্থায়ীভাবে আসন গেড়ে বসেছে।
গ্রামের চায়ের দোকান থেকে শহরের বিনোদন পার্ক পর্যন্ত—সবখানেই একটাই প্রশ্ন ‎ঘুরপাক খাচ্ছে: ভাই, নির্বাচন হবে তো? সম্ভব কি? হওয়াই ভালো ? না হলে কী হবে?‎
প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম; বরং নির্বাচন আদৌ ‎অনুষ্ঠিত হবে কি না—এই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়।
কুড়িগ্রামের একজন সাধারণ নাগরিক জানান—বিভিন্ন অস্থির পরিস্থিতি দেখে মনে হয় ‎না সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।তিনি বলেন -বেসরকারি শিক্ষকদের ‎আন্দোলন, সিলেটে রেললাইন দ্বিগুণ করার দাবি, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ‎চার্জশিটভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবৃতি, জুলাই সনদে স্বাক্ষর ‎নিয়ে জটিলতা, রাজনৈতিক দলগুলোর হুমকি-ধমকি—সব মিলিয়ে বিশ্বাস করতে কষ্ট ‎হচ্ছে যে নির্বাচন ঘোষিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা দক্ষিণে কর্মরত একজন শিক্ষক জানান—নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে ‎বলে তিনি বিশ্বাস করেন, তবে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ ‎রয়েছে। তাঁর মতে, সরকারের কাছে নির্বাচন ছাড়া গ্রহণযোগ্য কোনো বিকল্প নেই।
সাতক্ষীরার একজন ছাত্র আলোচনাক্রমে জানান – টেলিভিশনে চোখ খুললেই নির্বাচন ‎নিয়ে জন মানুষের ভাবনা গুলোর প্রতিফলন দেখা যায়।
অন্যদিকে, মোহাম্মদপুর থেকে অফিসের কাজে নিয়মিত সিএনজিতে যাতায়াতকারী ‎একজন নাগরিক আক্ষেপ করে বলেন—শহরের রাস্তায় অটো রিক্সার জন্য যেমন গতি ‎কমেছে তেমনি নতুন নতুন দাবি ও আবদার ও ‎উদ্যোগ নির্বাচন ঝুলিয়ে রাখার ‎কারণ হতে পারে।
এই দ্বিধা, দোলাচল ও অনিশ্চয়তার আবহে জাতি আজ এক জটিল অবস্থায় অবস্থান ‎করছে।নির্বাচন হবে কি না, হলে কেমন হবে—এই প্রশ্নের উত্তরই এখন জাতীয় প্রত্যাশার ‎কেন্দ্রবিন্দু।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, ‎বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে, যার মেয়াদ ছিল প্রায় তিন মাস। পরবর্তী ‎সময়ে, ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ‎তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়, যার মেয়াদ ছিল ৮৪ দিন।২০০১ সালের ১৫ জুলাই ‎বিচারপতি লতিফুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রায় তিন মাস মেয়াদে ‎অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করেন।সর্বশেষ, ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি ড. ‎ফখরুদ্দীন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং প্রায় দুই বছর পর ‎নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

—————
১৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল খায়ের 

নির্বাহী সম্পাদক: 
বার্তা প্রধান:

অফিস: বাড়ি ০৭, সড়ক ১৪/সি, সেক্টর ৪,

উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।

যোগাযোগ: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯

বিজ্ঞাপন: ০১৮২৬৩৯৫৫৪৯

Email: khair.hrm@gmail.com

info@dainikprotibimbo.com

protibimboprokash.com

Facebook

©2025 Dainik Protibimbo – All Right Reserved. Designed and Developed by Bangla Webs