১৭৪
সেনবাগে সাবেক এমপি মোরশেদ আলমসহ ৮৫ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা; ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি গিয়াস গ্রেফতার-
নোয়াখালীর সেনবাগে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জয়নুল আবেদিন ফারুকের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার ঘটনা নিয়ে নোয়াখালী-২ সেনবাগ-সোনাইমুড়ী
আংশিক আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও সেনবাগ উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব মোরশেদ আলমসহ ৮৫ জন আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর নামে সেনবাগ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে ৫ আগস্টের পর সাবেক এমপি মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে সেনবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন সেনবাগ উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সেনবাগ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির হুমু। মামলা নং ৬,তাং ৯-৪-২০২৫ ইং।
থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এস.এম মিজানুর রহমান।
এদিকে থানায় মামলা দায়েরের পরপরই বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে মামলার ৪ নম্বর আসামি কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাদরা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ মামলায় সাবেক এমপি মোরশেদ আলমের পুত্র সেনবাগ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম দিপু,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: গোলাম কবির, সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু নাছের ভিপি দুলাল,৩নং ডমুরুয়া ইউপির পলাতক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা শওকত হোসেন কানন, ৪নং কাদরা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপির পলাতক চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ আলম রিগান, নবীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা আলী আক্কাস রতন,সাবেক এমপি’র স্থানীয় প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক তানভির,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শোয়াইব ও রাব্বি সহ ২৫ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৬০ জন সহ মোট ৮৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউপির উত্তর শাহাপুর ইদ্রিস মাষ্টারের পুরাতন বাড়ির পূর্ব পাশে রাস্তার উপর বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে কল্যান্দি বাজার থেকে যাত্রা শুরু করে শাহাপুর এলাকায় প্রবেশ করার মুহুর্তে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১ ও ২ নং বিবাদীর হুকুমে অপরাপর এজাহার নামীয় বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ বেআইনী জনতা দলবদ্ধভাবে হাতে চাপাতি, পিস্তল, লোহার রড, হকস্টিক, লাঠি সোটা সহ মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জয়নুল আবদিন ফারুকের পথ রোধ করে ককটেল ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রচার প্রচারণায় কাজে বাধা সৃষ্টি করে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুককে হত্যার চেষ্টা চালায়।