বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল হিসেবে পরিচিত শেফালী জারিওয়ালা আর নেই। মাত্র ৪২ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শেফালীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিনেত্রীর স্বামী অভিনেতা পারাস টাইগি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
তবে এখনো পর্যন্ত শেফালীর মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে শেফালীর মৃত্যু ঘিরে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার রহস্যজনক এই মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্নেরও সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎই বি-টাউন মারফত এল বিস্ফোরক খবর। মাত্র ৪২ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন কাঁটা লাগা খ্যাত অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। জানা গিয়েছে, এ দিন তিনি বাড়িতেই অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে তড়িঘড়ি করে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, শুক্রবার রাতেই স্বামী পরাগ ত্যাগী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু মিলে শেফালীকে মুম্বইয়ের বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি আগেই প্রাণ হারিয়েছেন।
খোলামেলা স্বভাব এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃপ্ত উপস্থিতির জন্য পরিচিত ছিলেন শেফালি জারিওয়ালা। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং নারী ক্ষমতায়নের সক্রিয় প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর হঠাৎ প্রয়াণে বিনোদন জগতে ছড়িয়ে পড়েছে শোকের ছায়া। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে বহু ভক্ত ও সহকর্মী তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁরা শেফালিকে স্মরণ করছেন একজন “উজ্জ্বল, নির্ভীক” শিল্পী হিসেবে, যিনি পপ সংস্কৃতির জগতে রেখে গিয়েছেন গভীর ছাপ।
শেফালি পেছনে রেখে গেলেন তাঁর স্বামী পরাগ ত্যাগীকে। সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন পুরো ঘটনাক্রম নিয়ে। তিনি লিখেছেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন, শেফালিকে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন তাঁর স্বামী ও তাঁর দুই সঙ্গী। পোস্ট করার ৪৫ মিনিট আগে তাঁরা হাসপাতালে হাজির হন। হাসপাতালের রিসেপশনের কর্মী নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শেফালিকে হাসপাতালে ঢোকানোর পরেই চিকিৎসকরা দেখেই জানান, এখানে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তারপর সাংবাদিকরা আরএমও-কে জানালে তিনি আবার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের থেকে বিস্তারিত জানতে চান। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর লুলাও মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। কিন্তু এর থেকে বেশিকিছু এখনও জানা যায়নি।