রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশ পরিচয়ে বাসায় ঢুকে হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাকসুদা আক্তার মুক্তা মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও আহতরা হলেন– মাকসুদা আক্তার মুক্তা (৪৫) এবং তার দুই ছেলে সাইফুল হাসান (২০) ও সিফাত হাসান (১৮)। আর অভিযুক্তরা হলেন- মামলায় রেজাউল করিম সুজন, রাইসুল ইসলাম আসাদ, রাশেদা বেগম, সবুজ, বাবু ওরফে মুরগি বাবু, আরাফাত ইয়াসিন, শফিক, মোহন, সজিব বাবুর্চি, তরিকসহ ২৫ থেকে ৩০জন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল জোরপূর্বক গেট এবং ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাদের বাসার ভেতরে প্রবেশ করে এবং এক মহিলা ও ওই দুই যুবককে এলোপাতাড়ি মারধর করে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাকসুদা আক্তার মুক্তা বলেন, সকাল ৮টার দিকে আমরা ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ কিছু লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে। বাসার প্রধান ফটকের কেঁচি গেট ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে তারা। এরপর রুমের দরজা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তাদের বাধা দিলে আমার ছোট ছেলে সিফাত ও বড় ছেলে হাসানকে মারধর করে আহত করে। পরে আমাদের একটা রুমে আটকে দিয়ে ট্রাক ভরে বাসার ফ্রিজ, খাট, নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরসহ সব মালামাল নিয়ে যায়। আমরা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। পরে আহত অবস্থায় আমাদেরকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, হামলায় জড়িত সবাই মাস্ক পরিহিত ছিল। তবে হামলাকারীদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জনকে আমরা চিনতে পেরেছি। তাই ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, মূলত জমি নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব রয়েছে। একটি পক্ষ নিজেরাই উচ্ছেদ করতে গিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ভুক্তভোগীরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরার জন্য ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।