নব আলোড়নের নৈঃশব্দ্য
আফজাল উদ্দিন
নীরবতা গর্ভবতী হয় প্রতিটি মুহূর্তে
জন্ম দেয় শূন্যতার নাভিমূলে এক অবর্ণনীয় আর্তনাদ।
যেথায় নববর্ষ আসে ধ্বনিময় অঙ্গার হয়ে
আর আশার ছায়া বিলীন হয় আলো ফোটার আগেই।
নববর্ষ এখানে কোনো উৎসব নয়,
বরং স্মৃতি ও সম্ভাবনার গোপন গর্ভপাত।
এ যেনো এক শ্বাসহীন অবতারণা
যা বুকের গহীন শবভূমিতে জন্ম নেয়া এক শব্দহীন সুর।
এখানে নববর্ষের আলো –
জ্বলেই নিভে যায় স্মৃতির অব্যক্ত আয়নায়।
আর অতীত-ছায়া?
সে তো সময়ের প্রেতছায়া হয়ে,
নতুন পাতা ওল্টানোর নাম করে
আবারও পুরোনো পৃষ্ঠা রক্তাক্ত করে ফেলে।
আজি নববর্ষের আশার বাণী –
দিগন্তের প্রান্তে কিছু অলিখিত প্রার্থনা হয়ে ঝুলে আছে;
যা ধ্রুবতারার স্নায়ু দিয়ে বাঁধা কল্পনার পুঞ্জিভূত ধ্বনি।
যেখানে প্রত্যাশার ব্যাকরণ নিজেই আত্মবিরোধী।
আর বর্ণহীন অক্ষরে লেখা – “শুভেচ্ছা পত্র”
পাঠযোগ্য হলেও, অনুধাবনযোগ্য নয়।
এই নববর্ষ,
মোটেই প্রাণের উল্লাস নয়
বরং আত্মার এক অন্তঃসারশূন্য বিবর্ণ অম্বর।
এখানে প্রতিটি নিশ্বাস –
এক একটি অসমাপ্ত কবিতার বিরামচিহ্ন।