ভাঙা গড়ার নোয়াখালী
– রফিকুল ইসলাম চৌধুরী
চৌমুহনী হলো বৃহত্তর নোয়াখালীর ডাষ্টবিন। ময়লাময় বাজার। শহর হলো ফেনী, পরিচ্ছন্নতায় বসুরহাট। মাইজদী এক রাস্তার শহর তবে বর্তমানে সুন্দর, তাদের আয়ের উত্স কোর্ট। লক্ষীপুর আরেক মলিন শহর তবে রায়পুর উপজেলা হলেও অনেকটা গুছানো। নোয়াখালী র লোক বড় বড় কথা বলে। এখনও কেন কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধা নোয়াখালী বিশেষত দাগনভূইয়া বসুরহাট এলাকার।
অতিদ্রুত নোয়াখালী একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুকরা হোক। এই বিমানবন্দর চালু হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা আয় হবে। নেতারা সব কিলাকিলি নিয়ে থাকে, বাপ দাদার নাম নিয়ে ভাবেন অথচ নোয়াখালী নিয়ে ভাবনা নেই। ভালো রেললাইন ও রেলগাড়ী নেই।
নোয়াখালী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে পারে ইউরোপের মানচেষ্টার এর মতো।
চৌমুহনী পৌর কতৃপক্ষের উচিত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় মনোযোগ দেয়া।একসময় পুথিঘর নামক প্রকাশনার জন্য সুবিখ্যাত এই বাণিজ্যকেন্দ্র এমন অযত্নে অবহেলায় থাকতে পারেনা।বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বচ্ছল জেলা নোয়াখালী। শহরের জন্য মাষ্টার প্লান প্রয়োজন। চট্টগ্রাম-নোয়াখালী যোগাযোগ মুহুরি দিয়ে চালু হলে দুই ঘন্টায় আাসা যাওয়া করা যাবে।ইদানীং চট্টগ্রাম এর ছেলেরা নোয়াখালী মেয়েদের প্রেমে পড়ছে তাই অতি দ্রুততম সময়ে আসা যাওয়া দরকার।
নোয়াখালী শহরে অনেক ভালো হোটেল আছে, কেউ ভ্রমনে এলে সুন্দর থাকার ব্যবস্থা আছে।তবে ভালো কোনো পার্ক নেই। কেনো বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। একদা নলদিয়া মেলায় সার্কাস যাত্রা হতো।এখন সব বন্ধ। এখন হাতে মোবাইল, আর কি চাই?
নোয়াখালীতে একসময় পুর্তগীজ শহর ছিল। এখন সেসব ইতিহাস। কালিতারা ছিলো বিজনেস হাব, তার সাথে ছিল সুরম্য গির্জা, দেবালয় ও মসজিদ, ঘৌড় দৌড়ে র মাঠ। শত বছর আগে সেসব সাগরের তলদেশে চলে যায়।