‘সময়ের সঙ্গে বদলে যাওয়া’ জাতিসংঘ গাজার জন্য কী করেছে? আশি বছর বয়স হলো জাতিসংঘের।
ইউনাইটেড নেশনস্ চার্টার বা জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার ৮০তম বার্ষিকী আজ। ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হয়। এই দিনটি জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
অবশ্য, সনদটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ওই বছরের ২৬শে জুন। জাতিসংঘ সনদকে বলা হয় সংস্থাটির সংবিধান। এই সনদের ওপর ভিত্তি করেই জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এই সনদে শান্তি, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির বর্ণনায় শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং সেই লক্ষ্যে, শান্তির প্রতি হুমকি প্রতিরোধ ও অপসারণের জন্য কার্যকর সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এছাড়া, “অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অথবা মানবিক সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার” কথাও বলা হয়েছে এতে।কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, প্রতিষ্ঠার আট দশক পার করে নিজ উদ্দেশ্য ও নীতির পথে কতটা হাঁটতে পারছে জাতিসংঘ।সাম্প্রতিকতম এবং ব্যাপকতার দিক থেকে গুরুতর ইসরায়েল-গাজা সংঘাত দিয়ে বিবেচনা করলে জাতিসংঘের ভূমিকা কেমন ছিল?আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের কারো কারো মতে, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে ব্যর্থতার পর জাতিসংঘের অস্তিত্ব নিয়েই নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।আবার, কেউ কেউ মনে করেন, মানবিক সহায়তার প্রশ্নে সংস্থাটির সক্রিয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই এবং বৈশ্বিক কূটনীতিতে এখনো এর কোনো বিকল্প নেই।
