ছেলেমেয়ের বিয়ের পর, বাবা-মায়ের দায়িত্ব
অ্যাডভোকেট আজমির সুমি
ছেলেমেয়ে বিয়ে দিয়ে তাদেরকে শান্তিতে সংসার করতে দিয়েন দয়া করে। আর অন্যথায় এরকম মা’দের উচিত তার ছেলেদেরকে বিয়ে না করানো আর এই ধরনের ছেলেদের উচিত বিয়ে না করা। কারণ এ ধরনের ছেলেরা মায়ের কাছে কখনোই বড় হয় না আর ওয়াইফের কাছে কখনোই নিজের ব্যক্তিত্ব ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না।
ছেলেকে যখন বিয়ে দিবেন ছেলের বউ আর ছেলেকে একটু স্পেস দিবেন। আপনার শাশুড়ি আপনার সাথে কি করেছে তার জন্য আপনি ছেলের বউয়ের সাথেও একই আচরণ করবেন। এটাতো কোনোভাবেই সাপোর্ট করা যায় না। কোনো ধর্মও এটা সাপোর্ট করে না।
আর মেয়ের মা’দের একটা কথা বলব- যখন আপনার মেয়ের বিয়ের বয়স বা তার মানসিক বয়স বিবেচনা করে তারপর বিয়ে দিবেন। একটা ছেলে যখন শুনতেছেন বিসিএস ক্যাডার বা পুলিশ অফিসার বা আর্মির অফিসার, আর পাগল হয়ে একটা কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। আরে! আপনি তো আপনার মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন আপনার সমাজে স্ট্যাটাস বাড়ানোর দরকার নাই।
ছেলের মায়েদের আরেকটা সমস্যা আমি দেখি তারা তাদের ছেলেকেই একমাত্র পড়ালেখা করাইছে মানুষ করাইছে এটা অনেক মায়েদের মধ্যে মানসিকতা থাকে যে ওয়াইফকে একটা গিফট করলে বা শাড়ি কিনলে বা সালোয়ার কামিজ কিনলে দিতে হবে একই গিফট তাদেরকে দিতে হবে এটা কেন-রে বাবা প্রতিযোগিতা কেন নামতেছো প্রতিযুগে তো তুমি তোমার ছেলের সাথেই করতেছো।
আর যেসব পিতা-মাতা কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার পূর্বে নিজের থেকে উঁচুতে দিয়ে দেওয়ার আগে একটু চিন্তা করবেন। কারণ আপনি তো বাড়িঘর টাকাপয়সা ক্যারিয়ারের সাথে বিয়ে দিচ্ছেন। মেয়েটা বা ওই ছেলেটার মন কি বলে সেটা তো দেখছেন না। একটা সুস্থ সমাজ গড়ার জন্য সবার অবদান প্রয়োজন আছে। ছেলেমেয়ে সবাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি বাবা-মায়ের মতো শ্বশুর শাশুড়ি।
লেখক:
অ্যাডভোকেট আজমির সুমি
সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশ