চিঠি
চন্দ্রা তরফদার
কবি একটি চিঠি পেয়েছে
চিঠির পাঁজরে কেবল দুঃখ ,
লেখা ছিল , আমাকে হারিয়ে
খুঁজে ফেরার ভীষণ আক্ষেপ।
লেখা ছিল, আমায় সে
কোনদিনও ধরে রাখতে চায়নি,
তবুও মনের চিলে কোঠার
কোথাও না কোথাও আমি ছিলাম,
কেমন করে ছিলাম তা
চিঠির কোথাও লেখা ছিলো না
চিঠির বুক চিরে লেখা
কেবল দুঃখ আর দুঃখ ।
সে লিখেছে, সম্পর্ক ভাঙার
হ্মমতা আমার ছিল না
অথচ সম্পর্ক ভাঙার ক্ষমতা
নিয়েই সে পৃথিবীতে জন্মেছে।
সে লিখেছে যদি কখনও
মন পোড়ার গন্ধ পাও
আমায় তুমি খুঁজো প্রিয়।
চিঠিতে লেখা ছিলো, না
পাওয়ার ব্যার্থতা কতটা ভয়ঙ্কর ,
লিখেছে সঙ্গী বিহীন সম্রাটের মতন
একা পথে হাঁটে এখন,
নেই সম্রাটের কোন চাকচিক্য।
লেখা ছিলো, আমাকে ছেড়ে
যাকে এনে দিতে চেয়ছিলো
নবীন আর একটি ভোর
সে এনেছে অন্ধ কারের ঘোর।
শূন্যতা কুড়ানো বাদ্যযন্ত্রে কেবল
বিরহী বেহালায় ভাঙনের সুর,
মধ্যাহ্ন কূজনে চিৎকার করা
পাখির আর্তনাদ , কবি তুমি
সাজিয়ে দাও আমায় কবিতায়
আমি কিছুই হতে পারিনি,
না কবিতা, না ভালোবাসা,
না ধরে রাখতে পারা।
আমি শুধু দুঃখ পোষা
নিসঙ্গ পাখি হতে পেরেছি
দীর্ঘশ্বাসের আওয়াজকে করতে
পেরেছি কাচের ফ্রেমে বন্দী
নিঃশব্দে ঘটিয়েছি মহা বিপ্লব
এনেছি বিভৎস যন্ত্রণার পাণ্ডুলিপি
এবার তুমি লিখো কবি,কত
জনমের সখ্যতা তোমার আমার
পত্র প্রাপক কবি কি লিখবে!
একি ব্যথতা! একি প্রতিহিংসা!
নাকি শরৎ বাবুর রোমান্টিকতা
বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না
দূরে ও ঠেলে দেয়।