কুষ্টিয়ায় তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু:
এবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ছেঁউড়িয়ায় এসেছেন সমালোচক, লেখক, গবেষক ও অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক।
বছর ঘুরে ফকির লালন শাহ স্মরণে লালন উৎসব শুরু হয়েছে কুষ্টিয়ায় কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায়। এবার তা জাতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
সাঁইজির ১৩৫তম তিরোধান দিবসে শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় তিন দিনের এ উৎসব ও লালন মেলার।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিকতার পালা হলেও দিন কয়েক আগে থেকেই ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়া ভরে গেছে সাঁইজির ভক্তদের উপস্থিতিতে। পুরো এলাকা তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। দর্শনার্থীদেরও ঢল নেমেছে; কেউ এসেছেন একা, কেউবা দলবেঁধে।
এবছরই প্রথমবারের মত তিন দিনের এ মেলা রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজন করা হয়। এবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ছেঁউড়িয়ায় এসেছেন সমালোচক, লেখক, গবেষক ও অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন তিনি।
এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় কালী নদীর তীরে লালন মুক্ত মঞ্চে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, চিন্তক ফরহাদ মজহার, সংস্কৃতি সচিব মফিদুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় লালনের গানের আসর।