করলা চাষিদের সংগঠন বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
গত ১৯ আগস্ট ২০২৫ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে করলার বহুমুখী ব্যবহার বিষয়ক কৃষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রাম থেকেই প্রতিদিন চারশত থেকেই পাঁচশত মন করলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবারহ করা হয়। কৃষকরা জানান- করলা উৎপাদন খরচ বেশি এবং সংরক্ষণ করার উপায় না থাকার কারণে অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে লাভজনক করতে হলে এর বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আলোচনায় উঠে আসে করলা শুধু তরকারি বা সবজি হিসেবে নয় বরং এর দ্বারা নানা ধরনের ঔষধ তৈরী করা যায়। অনেকে এর দ্বারা জেলি, শুটকি, আচার, জুস্ ও পাউডার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। করলার ব্যবহার বহুমুখী কারণেই দরকার সমবেতো প্রচেষ্টা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সিনিয়র কারিগরি ও পলিসি উপদেষ্টা মারটাইন বলেন- করলার বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলেই যৌথ প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নাই। কৃষি মন্ত্রণালয় এর অধীন বাস্তবায়িত রেইনস প্রকল্পের ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক আবু সিয়াম জুলকারনাইন কৃষকের আগ্রো দেখে বলেন- আপনারা উদ্যোগ গ্রহণ করলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়িত রেইনস পরিকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম, করলা চাষি, কৃষি বিপনন কর্মকর্তা, রাজারহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম।