কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র জন্মদিনে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত।

by protibimbo
০ মন্তব্য ৪৩ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্কে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

গত ১৬ অক্টোবর ছিল বাঙালীর দ্রোহ, প্রেম ও প্রতিবাদের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’র ৬৯তম জন্মদিন। জাতীয় কবিতা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্কে নিবেদন করে কবিতা পরিষদের ৫১তম কবিতাপাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে।
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্কে নিয়ে আলোচনা করেন, বাংলাদেশ সরকারের আ্যটর্নী জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লা’র ছোট ভাই ডা. সাইফুল্লাহ ও আসাদুজ্জামানের স্ত্রী শিরিন সুলতানা। কবিতাপাঠে অংশ নেন, দেশের খ্যাতিমান নবীন-প্রবীন কবিরা।
২১ অক্টোবর মঙ্গলবার, বিকাল ৫টায়, ২৬ ইস্কাটন গার্ডেন রোডের ‘কাজল মিলনায়তন’-এ এই অনুষ্ঠান শুরু হয় ফারহান উদ্দিনের কন্ঠে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র লেখা “ভালো আছি ভালো থেক, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ” গানটির মধ্য দিয়ে। শিল্পী মিশু দাস প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি পরিবেশন করেন।
সূচনা বক্তব্যে কবি মোহন রায়হান বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রুদ্রের অনেক কীর্তি। সে কবিতা লিখেছে, গান লিখেছে, নাটক লিখেছে, অভিনয় করেছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেরও সে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অবৈধ ক্ষমতা দখলদার সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রুদ্র বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।”
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমার জীবনের প্রথম প্রেম রাজনীতি। আমার জীবনের শেষ প্রেমও হয়ত রাজনীতিই হবে৷ ক্লাস এইটের ছাত্র হিসেবে যখন “বাতাসে লাশের গন্ধ” পড়ি তখন থেকে আমার রক্তে আগুণ জ্বলে। নারীর প্রেমে পড়ে রুদ্র’র সহায়তা নিয়েছিলাম। সেই কারণে রুদ্রের কাছে আমার আজন্ম দায়বদ্ধতা আছে৷ আমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ ঘন্টা কাজ করি। মাথা যখন জ্যাম হয়ে যায় তখন আমি হেলাল হাফিজ, রুদ্রসহ অন্যান্য কবিদের কবিতা পড়ি। আমি ট্রাফিক জ্যামে বা প্লেনে যাতায়াতের সময় মাধবী লিখি। রুদ্র বাংলা সাহিত্যকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বেঁচে থাকবেন যতদিন প্রেম থাকবে, মানুষ থাকবে।
ডা. সাইফুল্লাহ বলেন, দাদা ছোট বেলায় ভিন্ন ধরণের ছিল। যে সময় মংলা পোর্টে ক্রিকেটে খেলা হত না তখন দাদা প্যাড পরে ক্রিকেট খেলত। সেভেনে পড়ার সময় প্রথম কবিতা লিখল। লিখে আম্মাকে দেখায়। স্বাধীনতা যুদ্ধে আব্বাকে ধরে নিয়ে যায়, তখন তাকে মা তাকে যুদ্ধে যেতে দেয় নি। এস এসসি পাস করে সে বলল, সে কবি হবে। বাসায় হুলস্থুল অবস্থা। ঢাকা কলেজে আর্টস গ্রুপে ভর্তি হয়ে নিয়মিত কবিতা লেখা শুরু করেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যখন মোহন ভাইরা ছিল, রাজনীতি ও সাহিত্য একই জীবনের দুইরকম উৎসরণ শ্লোগান দিয়ে তাঁরা ‘রাখাল’ গঠন করেন। ৯১ সালে হঠাৎ করে মারা গেলেন। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাদার স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে সর্বোত্তম শ্রদ্ধা জানাই।”
শিরিন সুলতানা বলেন, কবিতা ছাড়া রাজনীতি হয় না। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মোহন রায়হানদের কবিতা পড়ে আমরা সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে শানিত হয়েছি।”
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’র লেখা নীল খাম এলবামের সোনালী খেয়া কবিতাটি আবৃত্তি করেন অনন্যা মাহমুদ। রুদ্রের কাছে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি পড়ে শোনান কবি শিমুল পারভীন।
কবিতাপাঠ করেন– কবি মোহন রায়হান, কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি এ বি এম সোহেল রশীদ, কবি গোলাম শফিক, কবি শ্যামল জাকারিয়া, কবি নূরুন্নবী সোহেল, কবি কামার ফরিদ, কবি ইউসুফ রেজা, কবি আাসাদ কাজল, কবি রোকন জহুর, কবি ক্যামেলিয়া আহমেদ, কবি শিমুল পারভীন, কবি আমিনুল ইসলাম, কবি লিলি হক, কবি মিলি হক, কবি মনিরুজ্জামান রোহান, কবি তাসকিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল খায়ের 

নির্বাহী সম্পাদক: 
বার্তা প্রধান:

অফিস: বাড়ি ০৭, সড়ক ১৪/সি, সেক্টর ৪,

উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।

যোগাযোগ: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯

বিজ্ঞাপন: ০১৮২৬৩৯৫৫৪৯

Email: khair.hrm@gmail.com

info@dainikprotibimbo.com

protibimboprokash.com

Facebook

©2025 Dainik Protibimbo – All Right Reserved. Designed and Developed by Bangla Webs