নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কন্সুলেট-এর হলরুমে আয়োজিত হয় বাংলাদেশে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান:
গত শুক্রবার, বিকাল ৭টায়, ২৫ জুলাই, ২০২৫ নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কন্সুলেট-এর হলরুমে আয়োজিত হয় বাংলাদেশে জুলাই -আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এর প্রথম বর্ষপূর্তি। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন। শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানএ নিহত, আহত এবং মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত, আহত এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে নিহত সব শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। তার আগে ১ মিনিট দাড়িয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। গতবছর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র, জনতার স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার উপর ৩টি
প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। সায়ানের গানে প্রামাণ্যচিত্রটি দর্শকদেরকে অশ্রু সজল করে তোলে। পিনড্রপ নিরবতায় আমন্ত্রিত অতিথিরা ২০মিনিট গণঅভ্যুত্থানের বর্বর এবং নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে।
নিহতদের বাবা মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ এবং তাদের প্রানপ্রিয় সন্তানদের স্মৃতিচারণ শোনেন। এরপর বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কন্সাল জেনারেল মোজাম্মেল হক, জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাউদ্দিন নোমান চৌধুরী এবং প্রধান অতিথি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড.মোহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ড.আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
সবাই বাংলাদেশে জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজনীয়তা এবং এর জন্য দেশের মানুষ ঢাকাসহ সমস্ত দেশে যেভাবে স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের বর্বরতা, লুটপাট এবং ক্রসফায়ার, মানবাধিকার লংঘনের চরম নৈরাজ্যকর অবস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন তার বর্ণনা দেন। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ স্বৈরাচার হতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকার সংস্কারসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে একটি উন্নত এবং স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গঠনে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেন হেড অফ চ্যান্সারি ইসরাত জাহান। শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিনারে আপ্যায়িত করা হয়।