কাঁটাতারের বেড়া
শিমুল পারভীন
মুগ্ধতা আর ভালোলাগা যদি একই শব্দ হয়, তবে তার সবটুকু বুকের মধ্যে ধারণ করে সুমন ওর সমস্ত শুভবোধ জাগিয়ে সুষমাকে মনের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছিল। তাই শীতের সকালেও যেন ও শুনেছিলো বসন্ত কোকিলের গান। সুষমার একটুকু ছোঁয়া আর একটুকু কথা যেন আস্তরণের ভেতর লুকিয়ে থাকা সাপ যা সাংঘাতিক দংশনে বিষক্ত করে তুলেছিল সুমনের হৃদয়ের সব বন্ধ দ্বার। আর সুষমাও দীর্ঘদিনের অব্যবহারে অকেজো মনটাকে রিচার্জ করে নিতে চেয়েছিল আপন নীলিমায়। ওর মরচে পড়া মনের উঠোনটা যেন নতুন রঙে রেঙে উঠেছিল। ওদের দু’জনেরই মনের ঘরে ভোমর এসেছিলো গুনগুনিয়ে।
কিন্তু কাঁটা তারের যে অদৃশ্য বেড়া ওদের দু’জনার মনে তা কি ওরা উপড়াতে পারবে সুমন যদিও আজীবন অপেক্ষা করতে রাজী। তবে ত্রিপুরার আগরতলার নিয়তি বসুর একমাত্র মেয়ে সুষমা তো ভাঙতে পারেনা সব শৃঙ্খল, খসাতে পারে না পান থেকে সংস্কারের চুন। ডিঙাতে পারে না ওর মনের কাঁটাতারের বেড়া।